সনাতন ধর্মে মেয়েদের মর্যাদা।

সনাতনধর্ম মতে যখন কারো ঘরে প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয় সেই ঘর লক্ষীর। শিশু থেকে বালিকা যখন যুবতী হয়, ঋষিগন ঘোষনা করেছেন যে, যিনি তার কন্যা সন্তানকে সঠিক ভাবে লালন পালন করে ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার জন্য স্বর্গ নিশ্চিত হয়ে যায়। নারী যখন বিবাহিত, যুধিষ্ঠির মহারাজ বলেন "সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম ও স্ত্রীকে সহধর্মিণী হিসেবে মান্য করে।
নারী যখন সংসারী তখন রামানুজ লক্ষন বলে, স্ত্রীর দিকে দেবীর দৃষ্টিতে তাঁকানো পুন্যের কাজ এমনকি আদর করে মুখে একটু জল তুলে দেওয়াও অমৃতের সমান। ধার্মিক নারী যখন গর্ভবতী, নারদজী বলেন গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে দেবীর মর্যাদা পায়। নারী যখন মা, সিদ্ধিদাতা গনেশ বলেন, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড"।
সনাতন ধর্মে নারীদেরকে অনেক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা আমরা বুজতে পারি যখন, সিদ্ধিদাতা গনেশ কে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিক্রম করে আসতে বলা হয় তখন সে তাঁর মাকে তিনবার পরিক্রম করে মায়ের পায়ে প্রণাম করে বলে, আমার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিক্রম করা শেষ হয়ে গেছে। তাই সনাতন ধর্মে নারীদেরকে মা হিসাবেও অনেক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।