সনাতনধর্ম পালনকারীরা (হিন্দুরা) কেন গোহত্যা করে না।

আমরা এখন আলোচনা করবো হিন্দুরা বা সনাতনধর্ম পালনকারীরা কেন গোহত্যা করে না এবং গরুর মাংস খায় না তা নিয়ে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করি সকলের সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং ভিন্ন ধর্মালম্বীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
গোহত্যা এবং গরুর
মাংস আহার নিয়ে বেদ কি বলছে
দেখি,

1) গো হত্যা জঘন্যতম অপরাধ, ইহা
মানুষ হত্যার সমতুল্য। যারা এই রকম
তারা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।
(ঋগবেদ ৭।৫৬।১৭)

2) গো মাতাকে কোন কারণে, কোন
অবস্তাতে হত্যা করা যাবে না।
তাকে বিশুদ্ধ জল, শ্যামল ঘাস দিয়ে
পালন করবে যার মাধ্যমে তোমরা ধন
সম্পদ ও জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
(ঋগবেদ ১।১৬৪।১৪০, অথর্ববেদ ৩।৩০।০১)

3) গো হত্যা করো না এবং গরু হলো
অদিতি (যাকে টুকরো করে ভাগ করা
যায় না)
ঋগবেদ ৮।১০১।১৫

4) গরু আমাদের সুস্বাস্ত্য ও উন্নতি
আনে।
(ঋগবেদ ১।১৬৪।২৭)

5) গরুর জন্য সুপেয় জলের ব্যবস্তা
থাকা উচিত।
(ঋগবেদ ৫।৮৩।৮)

এছাড়া ঋগবেদের ১০।৮৭।১৬ এবং
অথর্ববেদের ১।৬৪।৪ তে মানুষ, ঘোড়া ও গো মাংস আহারকারীদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ আছে।

আপনাকে ভিন্ন ধর্মালম্বীরা বলতে পারে, তোমরা গরুর মাংস খাওনা কিন্তু ঠিকই গরুর চামড়ার জুতো আবার পায়ে দাও!

আপনি বলুন, ভাই মানুষ হত্যা করা তো পাপ, সব ধর্মেই তো সে কথা লিখা আছে, তাই না? তাহলে এবার বলেন, মানুষ হত্যা করা পাপ হলেও একটি বেওয়ারিশ লাশকে কেটে মেডিকেলের ছাত্র ছাত্রীরা যখন এনাটমি শিখে তখন তাদের জন্য সেটা কি পাপ?  বাংলাদেশ এর জাতীয় পাখির নাম কি বলুন তো? সে বলবে, দোয়েল। আপনি বলবেন, দোয়েল জাতীয় পাখি কেন?
সে হয়তো বলবে, দোয়েল ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে আমাদের অনেক উপকার করে তাই তাকে জাতীয় পাখি বলে।
আপনি এবার বলুন, গরু ও আমাদের বিভিন্ন রকম উপকার করে সেটা আপনিও জানেন। আবার, আম গাছের শুধু আমই খাওয়া যায় কিন্তু আম গাছ তো খাওয়া যায় না। তাই বৈদিক ধর্ম মতে গরুর দুধ খাওয়া সম্ভব হলেও মাংস খাওয়া সম্ভব না। যদিও আপনারা শকুর এর মাংস খেলে গুনা হলেও শুকরের দেহের চর্বি জাতীয় কিছু দিয়ে তৈরি প্রসাধনী ব্যাবহারে গুনা কিনা জানেন না। আমাদের ধর্মীয় কোন অনুষ্ঠানে মেলামান প্লেট ও ব্যবহার করা হয় না। আমাদের ধর্মের সাধু,সন্ন্যাসী, পুরোহিত ও বৈষ্ণবরা কখনোই চামড়ার তৈরি জিনিস ব্যবহার করেন না। একটি প্রাণীকে হত্যা করে খাওয়ার মধ্যে গৌরবের কিছু নেই, কোন বাহাদুরীরও কিছু নেই। আর আপনারা একটি প্রাণীকে ঘৃণা করে খান না আর আমরা গরুকে ভালোবেসে তাকে মাতৃজ্ঞান করে খায় না।

ভালো থাকবেন সবাই।