কর্ম এবং ভক্তি কি? কর্ম এবং ভক্তির মাঝে পার্থক্য কি? কর্ম এবং ভক্তির মাধ্যমে কি পাওয়া যায়?
কর্ম হল, যে সকল কাজ মানুষ ইহজনমে ও পরজনমে নিজর সুখ ভোগের আশাতে করে কিংবা নিজেকে এবং নিজের সাথে কোন সম্পর্কের ব্যক্তিকে আপনজ্ঞান করে (যেমন পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানের) তাদের সুখের জন্য করে থাকে সেগুলিকে বুঝায়। আর ভক্তি হল, ঈশ্বরের সেবার উদ্দেশ্যে যা কিছু করা যায় তাই। একই কাজ ক্ষেত্র-বিশেষে কর্ম হতে পারে অন্য ক্ষেত্রে ভক্তিও হতে পারে। কর্তার চিত্তবৃত্তি অনুযায়ী তার কাজ, কর্মত্ত্ব বা ভক্তাঙ্গত্ত্ব হয়ে থাকে। স্বর্গকামনার বশে কৃত হয় তখন সেগুলি কর্ম, আর নিজেকে উজাড় করে ঈশ্বরের সেবা করাই হচ্ছে ভক্তি।
আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের কর্মফল ভোগ করতে হবে। কর্ম আমাদের সম্পর্ক গুলো মজবুত করে আমাদেরকে সংসার সুখ ভোগ করায়। কর্মে সুখের সঙ্গে দুঃখ সম্পর্কবদ্ধ। সংসারে যেখানে সুখ আছে সেখানে দুঃখ অবশ্যই আছে, দুঃখকে ছাড়া সুখকে কল্পনা করা অর্থহীন। তাই সংসারে সুখভোগে শান্তি নেই। ভোগ করলে কামনা বাড়ে, আর কামনার অতৃপ্ত থাকলে দুঃখ আসবেই। সুখ সংসারে একচেটিয়া ভাবে থাকতে পারে না। এমনকি স্বর্গসুখও চিরস্থায়ী নয় পুণ্য ফল শেষ হলে স্বর্গচ্যুত নয়ে মর্তলোকে ফিরে আসতে হয়।
আমাদের মুক্তি একমাত্র ভক্তিতেই। ভগবানের প্রকৃত ভক্ত হতে পারলে জন্ম-মৃত্যু, স্বর্গ-নরক এই চক্র থেকে চিরমুক্তি পাওয়া যাবে। বারবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসা লাগবে না। এই যন্ত্রনা আর ভোগ করা লাগবে না। মোক্ষলাভ করা যায় একমাত্র ভগবানের ভক্তির মাধ্যমেই সুতরাং আমাদের সকল ভোগবাঞ্ছা পরিত্যাগ করে ভগবানের সেবা করা কর্ত্তব্য। আর যারা ভগবানের ভক্তি করেন তারা ভক্ত বা সাধু। ভক্তের মাঝেই ভগবান বাস করেন। তাই আমাদের সাধুসঙ্গ করা উচিত কারণ ভগবানের প্রকৃত সেবা সাধুসঙ্গ করে করা সহজ।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"
'ভক্তিতেই মুক্তি' বলতে কি বোঝায়
উত্তরমুছুন