সনাতন ধর্মের বর্ণ প্রথা সম্পর্কে জানুন।

সনাতন হিন্দুদের ভিতর চারটা জাতি আছেঃ
১) বৈশ্য (ব্যবসা করে এবং মানুষের কর্মসংস্থান যারা করে)
২) ক্ষত্রিয় (যারা দেশ রক্ষার জন্য নিয়জিত। যেমনঃ বাংলাদেশ আর্মি)
৩) ব্রাহ্মণ ( যারা পুজা করে বেড়াই এই বাড়ি ঐ বাড়ি। এবং ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন এক কথায় ধর্ম প্রচারক)
৪) শুদ্র ( এনারা শ্রমজীবী হয়ে থাকেন)

এই জাতি গুলো শুধু মাত্র পেশা ভেদে করা হয়েছে। যেমন আমি ব্যবসা করি আমাকে বৈশ্য বলে বোঝান হবে।
কিন্তু ব্রাহ্মণ জাতি নতুন নিয়ম করে তারা এই কর্ম ভিত্তিক জাতি গুলোকে বর্ণ ভিত্তিক জাতি বলে প্রচার করে এবং তারা যেহেতু ধর্ম প্রচারক তাই সবাই তাদের কথা মেনে নিয়েছিল।
এই পন্ডিতরা সনাতনধর্ম'কে বিষিয়ে তুলেছে। অমুক শুদ্র জাতি তার হাতের খাবার অন্য জাতিরা খেতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি (আমি নিজেও কত বকা শুনেছি আমার ঠাকুমার কাছে নিম্ন হিন্দু জাতির সাথে চলাফেরা করার কারণে বা তাদের বাড়িতে গেলে কিংবা তাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করলে। কিন্তু বুঝ হবার পর আমি এই সব কুসংস্কার আমার মাঝে ঠাই দেইনি।)

ব্রাহ্মণদের জন্য আজ হিন্দুদের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে। আমার মতে এই ব্রাহ্মণরাই ছোট জাতির কারণ এরা বাড়ি বাড়ি পুজা করে দানের টাকাতে ভিক্ষা ধনী হয়েছে।

এদের তৈরি জঘন্য একটি নিয়ম হলঃ পূজা করতে পারবে এক মাত্র তারা। যেমন আমার বাড়ি পূজা করবো আমি নিজে করতে পারবো না ওনাদের ডেকে এনে ( ভাল দক্ষিণার বিনিমেয়)   পূজা করতে হবে। একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবেঃ ধরুন আমি আপেল খাবো এখন ব্রাহ্মণ যদি নিজের মুখে নিয়ে তার দাঁত দিয়ে আপেলের ছোকলা তুলে না দেই তবে সেই আপেল আমি খেতে পারবো না। এর অর্থ এই দাঁড়ায় আমার সৃষ্টিকর্তার উপাসনা আমি নিজে করতে পারবো না,  উপাসনা করতে ব্রাহ্মণ জাতিকে লাগবে!!

সনাতন ধর্মের মাঝে এই রকম হাজার হাজার ভ্রান্ত ধারণা হিন্দু সমাজের আলেম মানে ব্রাহ্মণরা তৈরি করে দিয়েছে যে কারণে অনেক ধর্মের মানুষেরা সনাতনধর্ম'কে ভুল বুঝে।

সনাতনধর্মে কোথাও এমন জাতি ভেদের কথা নাই কিন্তু এই ব্রাহ্মণ'রা পেশাগত বর্ণকে জাতিগত বর্ণ রুপ দিয়েছে।

...............নীল

০১/১১/১৬

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্ট গুলো পড়তে পারেন

তিলক কি? কারা তিলক কপালে দিতে পারবে এবং তিলকের মহিমা!

নমস্কার কি? হিন্দুরা কেন নমস্কার করে? কেন হাত জোড় করে নমস্কার জানানো হয়?

একবার রাধা নাম বললে কি পুণ্য লাভ হয় জেনে নিন।